২য় পর্ব
লিখতে গিয়ে কি বোর্ড চলে না। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন ভাবি লিখব। কিন্তু লেখা হয় না। এই না লিখতে পারাতে কোনো আলস্য নেই। কোনো কঠিন মরু পেরুবার গল্পও নেই। আছে অসংখ্য অভিমান আর প্রশ্ন। আমার লেখাটি প্রকাশ হবার পর যখন অগণিত মানুষ এই লেখা পড়তে শুরু করলেন তখনি শুরু হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্থান থেকে আক্রমণ। আমার নাম যেহেতু অফসাইড আর এই নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিলো না কারো পক্ষেই, সে মুহুর্তে শুরু হয়ে গেলো গেইস গেম খেলা। একে ধরো,তাকে ধরো জাতীয় আক্রমণ। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অনেক জায়গাতেই সম্পূর্ণ ভুল আর মিথ্যে ধারনায় চলতে থাকে মিথ্যের বেশাতি। একটি পোস্টে দেখা যায় কোনো এক জণৈক চামচা ব্যাক্তি অন্য এক লেখকের নাম আওয়ামীলীগের কর্তাব্যাক্তি নানক-আজম দের কাছে পাঠিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।
কোথাও আবার সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সেই লেখকের স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন সব পোস্ট একের পর এক জন্ম নিচ্ছে। এর বাইরেও অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে, যা আপ্নারা শুনলে আর জানলে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমি “ বিহাইন্ড দা সিন” নামে এই লেখাটি লিখব এই সিরিজটি শেষ হবার পর পর।
আপনাদের একটা দৃশ্য কল্পনা করতে অনুরোধ করি এই লেখাটা পড়বার আগে। ধরা যাক তারেক রহমান আর তার দুই চামচা আপনার সামনে পড়ে গেলো কোনো এক নির্জন রাস্তায়। আপনি তারেককে দেখেই ক্রুদ্ধ হয়ে গেলেন । এত বড় লুটেরা আর চোরকে দেখে আপনার রেগে যাওয়াটাই হয়ত স্বাভাবিক। চড় মেরে বসলেন তারেকের গালে । দেখা যাবে তারেক চড় খেয়ে আপনাকে কিছুই বলে নি। কেননা তারেক জানত এমন কয়েকশ চড় সে জনগণের কাছ থেকে পাওনা হয়ে আছে। কিন্তু ওই মুহুর্তে কি হবে জানেন? ওই মুহূর্তে তারেকের পাশে যেই চামচা দুই জন দাঁড়িয়ে ছিলো, তারাই দেখা যাবে উত্তেজিত হয়ে গেছে । রেগে মেগে আপনাকে মারার জন্য উদ্ধত হয়ে আছে । হয়ত, তারেক কে বলে বসবে, “ তারেক ভাই, মনে রাইখেন আপনার গালে চড় দেয় নাই এইটা, এইটা মনে করেন আমার গালে চড় পড়ছে। আমি দেখতাসি বছ, আপ্নে বহেন । আপ্নারে চড় দিলো ? এত বড় সাহস? এত বড় কলিজা ?”
এইভাবেই তৈরী হয়েছে সেই বিখ্যাত প্রবচন দুইটি, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়” অথবা “সূর্যের থেকে বালি গরম” । আমার লেখার প্রথম পর্বে এই কঞ্চি ও
বালু’দের এত দেখা পেয়েছি বিভিন্ন স্থানে ও আকারে যে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম, বিমুড় আর স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম।শুধু ভাবছিলাম, কি করে এই দেশের মানুষ এই পরিবারতন্ত্র থেকে বের হবে ? কি করে বাপের পর পূত্র কন্যাদের রাজত্ব শেষ হবে ? ভেবে দেখলাম, শুধু একটা ভাবেই সম্ভব, যদি এই বাঁশের সাথে লেগে থাকা এইসব চামচাদের চিহ্নিত করা যায় । শুধু তখনি সম্ভব হবে একটি বড় বিপ্লবের । সূচিত হবে বড় আকাঙ্ক্ষা।লিখতে গিয়ে কি বোর্ড চলে না। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন ভাবি লিখব। কিন্তু লেখা হয় না। এই না লিখতে পারাতে কোনো আলস্য নেই। কোনো কঠিন মরু পেরুবার গল্পও নেই। আছে অসংখ্য অভিমান আর প্রশ্ন। আমার লেখাটি প্রকাশ হবার পর যখন অগণিত মানুষ এই লেখা পড়তে শুরু করলেন তখনি শুরু হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্থান থেকে আক্রমণ। আমার নাম যেহেতু অফসাইড আর এই নামে কাউকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছিলো না কারো পক্ষেই, সে মুহুর্তে শুরু হয়ে গেলো গেইস গেম খেলা। একে ধরো,তাকে ধরো জাতীয় আক্রমণ। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে অনেক জায়গাতেই সম্পূর্ণ ভুল আর মিথ্যে ধারনায় চলতে থাকে মিথ্যের বেশাতি। একটি পোস্টে দেখা যায় কোনো এক জণৈক চামচা ব্যাক্তি অন্য এক লেখকের নাম আওয়ামীলীগের কর্তাব্যাক্তি নানক-আজম দের কাছে পাঠিয়ে দিবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন।
কোথাও আবার সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সেই লেখকের স্ত্রীকে নিয়ে অশালীন সব পোস্ট একের পর এক জন্ম নিচ্ছে। এর বাইরেও অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে, যা আপ্নারা শুনলে আর জানলে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। আমি “ বিহাইন্ড দা সিন” নামে এই লেখাটি লিখব এই সিরিজটি শেষ হবার পর পর।
আপনাদের একটা দৃশ্য কল্পনা করতে অনুরোধ করি এই লেখাটা পড়বার আগে। ধরা যাক তারেক রহমান আর তার দুই চামচা আপনার সামনে পড়ে গেলো কোনো এক নির্জন রাস্তায়। আপনি তারেককে দেখেই ক্রুদ্ধ হয়ে গেলেন । এত বড় লুটেরা আর চোরকে দেখে আপনার রেগে যাওয়াটাই হয়ত স্বাভাবিক। চড় মেরে বসলেন তারেকের গালে । দেখা যাবে তারেক চড় খেয়ে আপনাকে কিছুই বলে নি। কেননা তারেক জানত এমন কয়েকশ চড় সে জনগণের কাছ থেকে পাওনা হয়ে আছে। কিন্তু ওই মুহুর্তে কি হবে জানেন? ওই মুহূর্তে তারেকের পাশে যেই চামচা দুই জন দাঁড়িয়ে ছিলো, তারাই দেখা যাবে উত্তেজিত হয়ে গেছে । রেগে মেগে আপনাকে মারার জন্য উদ্ধত হয়ে আছে । হয়ত, তারেক কে বলে বসবে, “ তারেক ভাই, মনে রাইখেন আপনার গালে চড় দেয় নাই এইটা, এইটা মনে করেন আমার গালে চড় পড়ছে। আমি দেখতাসি বছ, আপ্নে বহেন । আপ্নারে চড় দিলো ? এত বড় সাহস? এত বড় কলিজা ?”
এইভাবেই তৈরী হয়েছে সেই বিখ্যাত প্রবচন দুইটি, “বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়” অথবা “সূর্যের থেকে বালি গরম” । আমার লেখার প্রথম পর্বে এই কঞ্চি ও
আপনাদের মন্তব্যে অনেক হতাশার কথা পড়েছি । যেমন, “এইটাই আমাদের নিয়তি, এইটাই আমাদের অবস্থা, আমরা কি করব, আমাদের হাত বাঁধা” ইত্যাদি…ইত্যাদি… আসলে আপ্নারা কিছুই করতে পারবেন না । কারন আপনাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে এই জাতীয় লেখা দেখলে ঝাপিয়ে এসে পড়া । আর পড়া শেষে মিন মিনে সুবোধ মানুষের মত দীর্ঘ শ্বাস ফেলা । অন্যায় আর অত্যাচার দেখে, দূর্নীতি আর দূর্নীতিবাজ দেখে আপ্নি কি একটি দিন আপনার গলা উঁচু করে বলেছেন, “মাঙির পোলা, তুই কেডা? এই দেশ কি তোর বাপের নাকি হারামজাদা?”
বলেন নাই । বলেন নাই বলেই বাঁশের পাশে কঞ্চি বেড়েছে আর সূর্যের নীচে গরম হয়েছে বালি । এখন শুধু কপাল চাপড়ে মরতে থাকেন। আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে দীর্ঘজীবি হন।
জানি আপ্নারা মনে রাখতে পারবেন না আপনাদের মাথার ভেতরে সামান্য স্মৃতি দিয়ে। তারপরেও গল্প শরু করি…
উপরের যেই লোকটিকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম গিয়াসুদ্দিন আল মামুন । সাধারণ ও মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে এই মামুন । মানিক মিয়া এভিনিউর রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অত্যন্ত মধ্যম মানের ছাত্র ছিলো মামুন। জিয়া যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন একবার তিনি গিয়েছিলেন সেই স্কুলে কোনো এক কর্মসূচিতে । আমাদের মামুন সাহেব ঠিক সেই সময় জিয়ার সামনে গিয়ে বলে বসেন, তাদের স্কুলে একটি ভালো মাঠের প্রয়োজনীয়তার কথা । ইতিহাসের গল্পের মত, জিয়া এই তরুণের সাহসে মুগ্ধ হন ।অনেকটা রতনে রতন চেনে টাইপ। অগণিত আর্মি অফিসার হত্যাকারী জিয়া তার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন এইখানে মাঠ তৈরী করে দিতে। সেই থেকেই মামুন জিয়ার ভক্ত।
১৯৮৩ সালে মামুন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন। সেখানেই পরিচিত হন বাংলাদেশের সবচাইতে জঘণ্য দূর্নীতিবাজ ও চোর সম্রাট তারেক রহমানের সাথে। তারেক রহমানের সাথে সবচাইতে ঘনিষ্ঠতা ছিলো এই মামুনের । যে সময়ের কথা বলছি ওই সময়ে তারেক তখনো এত অর্থ আর সম্পদের মালিক হননি। একখানা মোটর বাইক ছিলো তারেকের । সেটা নিয়েই টোঁ টোঁ করে ঘুরত দু’জন । কলেজের পাঠ চুকোবার পর পর তারেক ভর্তি হয় ঢাকা ইউনিতে ।
মামুনদের পরিবার নির্বাহের জন্য তাদের একমাত্র সম্বল ছিলো তাদের একটি ঔষধের দোকান । এটি ছিলো এলিফেন্ট রোডে বাটার সিগনালের সাথে। নাম ছিলো পূবালী ফার্মেসি। তারেক ইউনিভার্সিটি থেকে ক্লাস শেষে মূলত এইখানেই আড্ডা বাসাত মামুন আর অন্যান্যদের সাথে । সাবেক এম্পি হাফিজ ইব্রাহীম মানে মামুনের ভাইও তখন তাদের দোকানে নিয়মিত বসত। পাঠক সম্ভবত বুঝতেই পারছেন মামুনদের তখনকার অর্থনৈতিক অবস্থার কথা। একটি দোকান ছিলো তাদের পুরো পরিবারের চালিকা শক্তি।
এভাবেই তারেকের সাথে মামুনের সখ্যতা বেড়ে উঠতে থাকে প্রতিটি দিন। মামুনের নিয়মিত যাতায়াত ছিলো ক্যান্টনমেন্টের তারেকদের বাড়ীতে । যেখানে জিয়ার আরেক শ্রীমাণের সাথেও মামুনের পরিচয় হয়। সেই শ্রীমানের নাম কোকো। আমাদের আরেক দূর্নীতিবাজ ও চোর ভাই কোকো রহমান। জিয়ার কনিষ্ঠ পূত্র। তারেকদের বাসার উলটো দিকেই থাকতো তারেকের মামা সাঈদ ইস্কান্দর
সাঈদ ইস্কান্দরের সাথেও মামুন একসময় ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। ক্রমান্বয়ে তারেক আর তার মামার শিপিং,টাওয়েল,গার্মেন্টস ইত্যাদি ব্যাবসার সাথে মামুনের সম্পৃক্ততা বাড়তে থাকে। ১৯৯৫-১৯৯৮ সালের সময়টা মামুন নিজেই তার স্ত্রী আর পরিবারকে নিয়ে চলে আসে ক্যান্টনমেন্টের নাজির রোডে। কি তড়িত উন্নতি !! একেবারে মিরপুর থেকে ক্যান্টন্মেন্ট! পরশ পাথর ধরা দেয়া শুরু হতে লাগলো মামুনের জীবনে । একটা সময় আওয়ামীলীগ সরকার মামুনকে ক্যান্টন্মেন্টে বসবাস করতে বাধা দেয়। ১৯৯৬ সালে লীগ ক্ষমতায় আসার পরেই। ঠিক তার পর পর মামুন এই না থাকতে দেয়ার ক্ষোভ প্রতিশোধ হিসেবে রপান্তরিত করে ২০০১ সালের নির্বাচনে জামাত আর বিনপি’র পক্ষে তার চতুর আর চালাকি সব বুদ্ধি গুলোর সংমিশ্রণ ঘটিয়ে। সাথে থাকে আরেক রাজপূত্র মাহি বি । যার কথা যথা সময়ে বলা হবে।
এর পর মামুনের ইতিহাস অন্যন্য। ২০০১ সালে বি এনপি ক্ষমতায় আসে। ধীরে ধীরে ক্ষমতা চলে যায় মৃত রাজা জিয়ার পূত্র তারেক রাজার কাছে আর সাব রাজা কোকোর কাছে। রাজা তারেকের সাব ডিভিশনাল চামচা হিসেবে নাম করে নেয় গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। এর পরের ইতিহাস শুধু নিচের সম্পদের হিসেবেই দেখুন-
মামুনের ভাষ্যমতে তার ব্যাক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মত। যা একটি হাস্যকর পরিমাণ। অথচ মামুনের দেয়া জবানবন্দীতে তার সম্পদের পরিমাণ তার বলা উপরের পরিমাণটি তাকে শুধু মিথ্যেবাদীই প্রমাণ করেনি প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের একজন সেরা চামচা ধর্ষক হিসেবে।
তারেক রহমানের ধর্ষন করা বাংলাদেশকে নীরবে ধর্ষন করে এই মামুন। চামচাবাজী,তেল বাজী সব কিছুতেই সিদ্ধহস্ত ছিলো মামুন। তারেকের পা চেটে চেটে , রাজার পূত্রদের পা চেটে চেটে মামুন তারেক রাজার ফার্স্ট ইন কমান্ড হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করে ।
নীচে তার সম্পদের পরিমান দেখুন।
১। মৌচাকে ২০ বিঘা জমি
২।ইন্দিরা রোডে ১৩০০ স্ক্য়ার ফিটের ফ্ল্যাট
৩।ওল্ড ডি ও এইচ এ ফ্ল্যাট
৪।চ্যানেল ওয়ানের নামে ১৭ কাঠা জমি বরাদ্দ যার জন্য পাবলিক মিনিস্ট্রিকে মাত্র ৩০ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে।
৫। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আছে ১৫ কোটি টাকার এফ ডি আর
৬।ভোলার বোরহান উদ্দিন থানায় তিন বিঘার উপরে একটি বাড়ী আছে।
৭।গাজী পুরে তার সেই বিখ্যাত বাড়ী খোয়াব আট কাঠা জমির উপর নির্মিত
৮।পুরানো ডি ও এইচ এস এ তার স্ত্রীর নামে একটি বাড়ী আছে। বাড়ীর
ঠিকানা ৭৮,রোড ৬। বাড়িটি তৈরী করতে খরচ হয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকা। জমির মূল্য ২ কোটি। বাড়ীটি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মান্নানের কাছ থেকে কেনা হয়েছে।
৯। মামুনের স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে আচে প্রায় চার কোটি টাকার মত এফ ডি আর।
১০।মামুনের এইচ এস বি সি ব্যাঙ্কে আছে ২১ লক্ষ ১৮ হাজার ৩১ টাকা(গুলশান ব্রাঞ্চ),স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কে আছে ৯৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৪১৭ টাকা ( মতিঝিল ও কাওরান বাজার শাখা), ৫০ লক্ষ টাকা (স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাঙ্কের গুলশান শাখা), ঢাকা ব্যাঙ্কের বনানী ব্রাঞ্চে আচে ১০ লক্ষ
মামুনের গাড়ী গুলো এক নজরে দেখে নিন-
১।4000CC BMW worth 52 lacs;
২। Lexus (sedan) worth 30 lac taka;
৩।Volvo worth 35 lac taka;
৪।2500CC microbus worth 18 lac taka, the loan of which nine lac has been repaid so far;
৫।Pajero used for Rahman Navigation;
৬।8 microbuses of which 17 were used for Channel One TV;
৭। Other vehicles include cars, buses, trucks, etc, totalling 50 in all.
১১। মামুনের ৩০% শেয়ার আছে রহমান নেভিগেশন এন্ড কোং এর সাথে, ২৫% রহমান শিপিংস বাংলাদেশ, ২০% খাম্বা লিমিটেড, ৬০% পি সি আই এল, ৩৫% অয়ান কম্পোসিট মিলস লিমিটেড, ৪১% ওয়ান স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ৫৫% ওয়ান ডেনিম ফ্যাক্টরী, ২% চ্যানেল ওয়ান, ৭৫% ওয়ান হোল্ডিং লিমিটেড।
১২। সাঈদ ইস্কান্দর ও তারেক রহমানের সাথে ব্যাবসায় নেমে আমুন আই এফ আই সি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেয় ৬০ লক্ষ টাকা এবং এই ব্যাঙ্কের অর্থায়নেই আব্দুল গণী সিকদারের কাছ থেকে দুইটি জাহাজ কেনার অর্থায়ন করা হয়। ১৯৯৭ সালে তারা ৪ টি জাহাজ ক্রয় করে ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে এবং আই এফ আই সি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেয় ১ কোটি ৮০ হাজার টাকা, সাইদ ইস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন সাইদ পরবর্তীতে এই ব্যাবসায় নামে। আপ্নারা সদর ঘাটে গেলে দেখবেন কোকো-১,কোকো-২, এই জাতীয় অনেক লঞ্চ। এই সব লঞ্চ গুলোই আমাদের ২য় রাজপূত্র কোকো সাহেবের, যার গল্প করা হবে এই সিরিজের পরবর্তী পর্বে।
১৩। সাঈদ ইস্কান্দরের সাথে গার্মেন্টস ব্যাবসায় মামুনের বিনিয়োগ আছে। তারা ইউনিটেক্স এপারালস নামে এক্টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী স্থাপন করে ৯০ টি মেশিন নিয়ে। যেখানে বিনিয়োগ করা হয় ২০ লক্ষ টাকার মতন এবং আই এফ আই সি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেয়া হয় ৫০ লক্ষ টাকা। এই প্রজক্টটি ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৮ সালের সময়ে ১ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়।
১৪।প্রাক্তন এম পি এম এইচ সেলিম যে কিনা সিলভার সেলিম নামেও পরিচিত। তার সেথা মামুন একটি মিল, সিল্ভার লাইন কম্পোসিট মিলস লিমিটেড স্থাপন করে গাজীপুরে। সেলিমের জমিতে ৩০ -৪০ লক্ষটাকা ইনভেস্ট করে আই এফ আই সি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেয় ৬০ কোটি টাকার মতন এই মিল পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এই অংশ মামুনের শেয়ার ছিলো ২৫%।
১৫। আই এফ আই সি ব্যাঙ্কের থেকে ১৮ কোটি টাকার লোন নেয়ার মাধ্যমে মামুন সম্মিলিত ভাবে একটি ফ্যাক্টরী স্থাপন করে
মামুনের আর যেসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান আছে-
ওয়ান টেক্স ডাইং ফ্যাক্টরী, খাম্বা লিমিটেড, প্রি-কাস্ট কনক্রিট লিমিটেড, ওয়ান কম্পোসিট লিমিটেড, ওয়ান শিপিং,আর ই বি টেন্ডার, ওয়ান কনসিউমার, ওয়ান ডেনিম ফ্যাক্টরী।
মামুনের ডাকাতির মধ্যে একটা বড় অংশ ছিলো কোনো কন্ট্রাক্ট করিয়ে দেবার নামে টাকা গ্রহন। ধরা যাক আপনি একটা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গঠনের অনুমতি পাইয়ে দিবেন, ব্যাঙ্ক স্থাপন করার অনুমতি পাইয়ে দিবেন, ইন্ড্রাস্ট্রী বানাবেন,কারখানা বানাবেন,শিপ কিনবেন, কন্সট্রাকশন করবেন, যাই করবেন না কেন তা মামুন আর রাজা তারেকের কাচ থেকে অনুমতি ও চাঁদা দিয়ে তা করতে হবে। তাদের মূল বাটপারি কার্যালয় হাওয়াভবন থেকেই এটি নির্ধারিত হত। এই কাজের জন্য মামুনকে সাহায্য করত মীর আক্তার লিমিটেড,আমদুল মোনেম লিমিটেড,রেজা কন্সট্রাকশন,বিডিসি,পি বি এল ইত্যাদি।
১।রোডস এন্ড হাইওয়েতে বিভিন্ন কন্ট্রাক্ট তার পরিচিতজনদের পাইয়ে দিয়ে ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত মামুনের এই খাতে আয় ছিলো ২০ কোটি টাকার মতন।
২।রেল ওয়ের দুইটি টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে মামুন পকেটে ভরে নেয় ৭৫ লক্ষ টাকা।
৩। সেলিম ভুইয়া নামে একজন যে ছিলো নিক্কো রিসোর্সের এজেন্ট, তার কাছ থেকে কাজ পাইয়ে দিয়ে পকেটে ভরে ৮০ লক্ষ টাকা।
৪।মিসেস খাদিজা ইসলাম কে ফেঞ্চু গঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের চুক্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য সেখান থেকে বদল দাবা করা হয় ১কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। এই কন্ট্রাক্টের প্রোপাইটার ছিলো নির্মাণ কন্সট্রাকশন।
৫।এই সালমা ইসলামকেই টংগী পাওয়ার স্টেশনের চুক্তি পাইয়ে পাইয়ে দেয়া হয়েছিলো ৭ লক্ষ বিশ হাজার ডলারে যা জমা হয়েছিলো মামুনের সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাঙ্ক একাউন্টে। ( রবিনসন রোডের ব্রাঞ্চ,po box-1195, Singapore)
৬। বাংলাদেশের হোসাফ গ্রুপের নাম শোনার কথা আপনাদের। এই গ্রুপ থেকে ৬ কোটি টাকা নেয়া হয়েছিলো ২০০১-২০০২ সালের দিকে একটা পাওয়ার স্টেশনের কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দেবার বিনিময়ে। যে টাকা জমা হয়েছিলো আলাদা আলাদা লন্ডন ন্যাট ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এবং সিটি ব্যাঙ্ক সিঙ্গাপুর।
৭। অবসর প্রাপ্ত ক্যাপ্টেন রেজা, গিয়াসুদ্দিন আল মামুনকে ২ কোটি টাকা দেয় ময়মনসিং ফেইস-২ পাওয়ার স্টেশনের কাজ এবং ঢাকা উত্তর পাওয়ার স্টেশনের কাজ পাইয়ে দেবার জন্য।
৮। তার এক বন্ধুর জন্য এল জি ই ডি মন্ত্রণালয়ের সাথে (জিয়াউল হক জিয়া) মামুন লবিং করে। সেই বন্ধুর কোম্পানীর নাম কে আই সি এল। সেখান থেকে মামুন পকেট দাবা করে ৭৫ লক্ষ টাকা।
৯।নরটেল কোম্পানির মুশফিকের কাছ থেকে মামুন ৫০,০০০ ইউ এস ডলার নেয় একটি চুক্তি নিশ্চিত করণের মাধ্যমে। এটি ২০০১-২০০২ সালের ঘটনা।
১০। ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান আলী আসগর লবীকে ২০০২ সালে টি এন্ড টি’র একটা চুক্তি পাইয়ে দেয় ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে
১১। ওয়াহিদ সালাম নামে এক ব্যাক্তিকে বিভিন্ন কন্সাল্টেন্সি জাতীয় সাহায্য দেয়ার জন্য ওয়াহিস সালাম নামের এক ব্যাক্তির কাছ থেকে নেয়া হয় ৫০ লক্ষ টাকা। এই অশিক্ষিত কুত্তারবাচ্চা মামুন কিসের কন্সাল্টেন্সি করেছে কে জানে? হারামজাদা না ইঞ্জিনিয়ার,না ডাক্তার,না উকিল,না সলিসিটর ।
১২।জি এম সিরাজ এম পি’র সাথে একটা ব্যাবসায় নামে মামুন। যেখানে উত্তরা মটর্স থেকে ৬০০ সি এন জি’র একটা চালান থেকে মামুন আর সিরাজ প্রফিট করে প্রত্যেকে ২ কোটি টাকার মত।
১৩। সিভিল এভিয়েশন অথরিটির একটি চুক্তি বাবদ মামুন আয় করে ২৫ লক্ষ টাকা।
এই অমানুষ টি সম্পর্কে আরো অনেক অনেক তথ্য আছে আমার কাছে ।বিরক্ত আর ক্লান্ত হয়ে গেছি দিতে দিতে। আমি রাজনীতিবিদ নই অথবা তেমন কোনো লেখকও নই । আমার কোনো দায় নেই কারো কাছে । আমি আর লক্ষ কোটি মানুষের মত বাংলাদেশের একজন সন্তান। আজ মামুন সম্পর্কে যতটুকু লিখলাম আপ্নারা তা হয়ত এক কাপ কফি কিংবা চা নিয়ে তারিয়ে তারিয়ে পড়বেন। ফেইস বুক কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে শেয়ারও করবেন। কিন্তু দিনের শেষে কি দেখা যাবে জানেন? আহ, উহ, এত খারাপ!! এত অমানুষ!!! এইসব এখন বলবেন আর দিনের শেষে আপ্নারা এই অমানুষ জানোয়ার কেই ভোট দিবেন। কারন সামনের ইলেকশানে মামুন অবশ্যই নির্বাচনে দাঁড়াবে যেমনটি দাঁড়িয়েছিলো তার ভাই হাফিজ ইব্রাহিম। আপ্নারাই তাকে ভোট দিয়েছিলেন তাকে জয়ী করেছিলেন।
একটি বার আপ্নারা চিন্তা করে দেখুন তো! এই লোক্টি সম্পর্কে উপরে যতটুকু লিখলাম তার প্রতিটি কথা । এলিফ্যান্ট রোডে একটি ঔষধের ফার্মেসী ছিলো মামুনের । তারেক যেমন বাবার একটি ভাঙা সুটকেস থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার অর্থের ব্যাবস্থা করে ফেলেছে এই বাংলাদেশকে দিনের পর দিন ধর্ষন করে, ঠিক তেমনি তারেকের পাছা চেটে চেটে, পা চেটে চেটে মামুন বাংলাদেশের মানুষকে ধর্ষন করেছে দিনের পর দিন ।
শুধু উপরের উদাহরণ গুলো দেখুন। আপনি একটা ব্যাবসা করবেন তবে মামুন-তারেক কে ধরেন। আপনি কোথাও হাগবেন? তাহলে মামুন-তারেকের অনুমতি নেন, আপনি কোথাও বিনিয়োগ করবেন? মানুন-তারেকের অনুমতি নেন। আপনি আপনার বাড়ী বানাবেন? মামুন –তারেকের অনুমতি নেন। এই দেশটা যেন তারেকের খুনী বাবার সম্পত্তি আর পা চাটা চামচা মামুনের। এই দেশটা যেন ওদের কথাতে উঠবে আর বসবে ।
দেশে শত শত তরুন আছে, যুবা আছে,লক্ষ লক্ষ বিদেশ ফেরত কিংবা দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে পড়া মেধাবী ছাত্ররা আছে, আরো আছে মেধাবী কৃষক, গার্মেন্টস কর্মী,দিন মজুর,ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,উকিল,ব্যারিস্টার,একাউন্টেন্ট,ব্যাবসায়ী । অথচ দেখেন, দেশ চালালো কারা? দেশ চালালো অতি নিম্ন রুচির দুই অসভ্য ভাই আর তাদের অসভ্য এক চামচা ।
আপ্নারা কি করেছেন সেই পাঁচটি বছর? হাঁক দিয়েছিলেন দশজন মিলে? কেউ কি একবারো বলেছিলেন কুত্তার বাচ্চা, “এই দেশ কি তোর বাপের?” আপ্নিও বলেন নাই, আমিও বলি নাই। তার বদলে খালেদার মহা সমাবশে গিয়েছি, মিটিং এ গেছি আর গলার রগ টগ ফুলিয়ে তারেক ভাইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইইই বলে হায়েনার মত চেঁচেয়েছি। তাহলে এই মামুন যখন ২০১৩ সালের নির্বাচনে আপনাকে ছিন্ন ভিন্ন করে খাবে, আপনি দুখী হবেন কেন? কেন আপনি অভিযোগ করবেন এরা খারাপ আর দূর্নীতিপরায়ন বলে? আপনার লজ্জা করবে না সে সময়?
উপরের ছবিতে যাকে দেখছেন এই ভদ্রলোক হচ্ছেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বি এন পি’র এখন প্রথম সারির যে কয়জন চামচা আইঞ্জীবি আছে ইনি তাদের একজন। তারেক রহমানের মামলা লড়ছেন অনেক আগ থেকেই। সাবেক এম পি ও বি এন পির একজন বড় নীতি নির্ধারক এডভোকেট খন্দকার মাহবুব উদ্দিন (ঢাকা ৯ এর সাবেক এম পি) এর ডান হাত এই কাজল সাহেব। আপনাদের মনে আছে কি না জানিনা, ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার যখন বিচারপতিদের বয়সের ক্রম অনুসরণ না করে পদোন্নতি দিচ্ছিলেন তখন পাছামোটা নাজমুল হুদা ও রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রধান বিচারপতির দরজায় লাত্থি মারে । সেই থেকেই নাম হয়ে যায় এই কাজল সাহেবের। তিনি অবশ্য সে সময় ছিলেন এডভোকেট । যশোরের ছেলে। আগে থেকেই বি এন পির সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের খুব কাছের লোক এডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজল । ইংলিশ ল পড়বেন এবং ব্যারিস্টার হবেন সেই আশাতে আসেন লন্ডনে।
শুধু মাত্র এই রুহুল কুদ্দুস কাজল লন্ডনে আসবে বলেই, বাংলাদেশ হাই কমিশনে তার জন্য আইনের একটি আলাদা বিভাগ খোলা হয়, পদ তৈরী করা হয়। প্রতি মাসে ১২০০ পাউন্ড পেতেন বাংলাদেশ সরকার থেকে। ফ্রি গাড়ি, ফ্রি বাড়ী,সব ধরনের ইউটিলিটিস বিল ফ্রি। শুধু মাত্র দলীয় প্রভুদের তুষ্ট করতে পেরেছেন বলেই কাজল সাহেব কে এই পুরষ্কার দেয়া হয়েছিলো। কি করতেন তিনি বাংলাদেশ হাই কমিশনে? কি ছিলো তার কাজ ? যখন মন চাইতেন যেতেন, যখন মন চাইতেন চলে আসতেন। লন্ডনে সিলেটী লোকেরা সে সময় এক বাক্যে এই রুহুল কুদ্দুস কাজলকে চিনতেন। অসংখ্য লোকের কাছেই শোনা যেত এই রুহুল কুদ্দুস কাজলের দূর্নীতি। পাসপোর্ট প্রতি ৪০ পাউন্ড-৫০ পাউন্ড তাকে দিতে হতো ।সরকারী ১২০০ পাউন্ড আর উপড়ি ইনকামের টাকা দিয়ে রুহুল কুদ্দুস বার এট ল সম্পন্ন করেন সিটি ল স্কুল থেকে ২০০৬-২০০৭ সালে। বার এট ল করার খরচ সব মিলিয়ে থাকা খাওয়া টিউশন ফি সহ কমপক্ষে ২০-২৫ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশ সরকার লন্ডন হাই কমিশনে তাকে একটি লোক দেখানো চাকরি দিয়ে সরকারী টাকাতেই ব্যারিস্টার করে আনলো তাকে।
আমার প্রশ্ন আসলে অন্য যায়গায়। প্রশ্নটি হলো, এই অর্থ কার? এই যে ১২০০ পাউন্ড প্রতি মাসে খামাখাই একটা পদ তৈরী করে দেয়া হলো, এই অর্থ কার পকেট থেকে গেলো? সরকারের?
ভালো কথা। সরকার এই টাকা পেলো কোথায়? অবশ্যই ভ্যাট থেকে, ট্যাক্স থেকে। এই ভ্যাট আর ট্যাক্স কে দিয়েছে? মানুষ। সাধারণ পাবলিক। এই ট্যাক্স দিয়েছে কৃষক,মজুর,খেটে খাওয়া মানুষ, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ। আমার পেটের টাকা,আমার রক্তের টাকা দিয়ে একজন দূর্নীতিবাজ লোক যে কিনা প্রধান বিচার পতির দরজায় লাথি মারতে পারে, যে কিনা আইনের প্রতি এত অশ্রদ্ধাশীল,সেই লোক তার পুরষ্কার হিসেবে পায় হাই কমিশনে একটি পদ। অথচ এরকম অসংখ্য দূর্নীতির কথা বাংলাদেশের কয়জন মানুষ জানেন? কয়জন মানুষ সরকারকে জিজ্ঞেশ করেছেন এই ধরনের পদক্ষেপের কথা , কয়জন মানুষ আসলে বুঝতেই বা পেরেছে এই দূর্নীতির কথা?
তিনি বিভিন্ন আড্ডাতেই বলেছেন তার নির্বাচন করবার খায়েশের কথা। দেশে ফিরেই তিনি যশোরে তার নির্বাচনী এলাকায় জন সংযোগ শুরু করেছেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি বি এনপি-জামাতের প্রার্থী হবেন। খুব ভালো। খুব আনন্দ লাগে এসব শুনে। তৈরী হয়ে যান। আপনার নেতা রুহুল কুদ্দুস কাজল কে ভোট দেবার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন।
উপরের যে বাচ্চা বাচ্চা চেহারার ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছে তার নাম ব্যারিস্টার সাকেব মাহবুব রাফি। বি এন পি’র বর্তমান যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের ছেলে। থাকে লন্ডনে চাচা সবুজের সাথে। লেইটনে বাবার কিনে দেয়া প্রাসাদে। এল এল বি করেছে এল এস ই থেকে এবং বার এট ল করেছে কলেজ অফ ল থেকে। এখন এল এল এম করছে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্স থেকে। অন্যান্য অনেক বি এন পি’র ত্যাঁদর আর অসভ্য নেতার ছেলে-পুলে থেকে কোয়ালিটির দিক থেকে ও আচরণ গত দিক থেকে রাফিকে একজন অমায়িক ছেলে হিসেবেই আমি মনে করি।
কিন্তু আমার প্রশ্ন এইখানে না। আমার প্রশ্ন তার ভবিষ্যত নেতা হওয়া নিয়ে, এম্পি হওয়া নিয়ে। সমগ্র পড়ালেখার অর্থায়ন নিয়ে, তার বাবার দূর্নীতি নিয়ে। আজকে রাফি শুধুমাত্র…শুধুমাত্র মাহবুব খোকনের ছেলে হওয়াতেই শুধু এম পি আর মন্রী হবার জন্য লাইন লাগাবে, দেশের টাকা বাবা মেরে পাঠাবে আর ছেলে এখানে আরাম করে পড়বে, এমন কেন হবে?
মওদুদের এ পি এস থাকা অবস্থায় কি করেনি এই মাহবুব উদ্দিন? তার ৬ ভাইয়ের প্রত্যেকটাকে বিভিন্ন ব্যাবসা,ট্রেড লাইসেন্স, বসুন্ধরা সিটিতে কোটি টাকা দামের দোকান এসব সব কিছু করে দিয়েছে মাহবুব উদ্দিন খোকন। কোটি কোটি টাকায় ট্রেড লাইসেন্স বিক্রি, দূর্নীতি,চাকরির তদবির, এসব কিছু করেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয় মাহবুব উদ্দিন খোকন। মওদুদের একটি প্রতিবন্ধী ছেলে আছে লন্ডনে। তার নাম আমান মমতাজ মওদুদ। ব্রিটিশ পাসপোর্ট ধারী। এই ছেলেকে দেখাশোনা করানোর জন্য মওদুদ এক সময় মাহবুব উদ্দিন খোকন কে লন্ডনে তার বার এট ল ডিগ্রী করতে পাঠায়। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিলো মাহবুব উদ্দিন খোকন যাতে আমানের দেখাশোনা করে। খোকন প্রভু মওদুদের মতই চলেছিলেন। মওদুদ ক্ষমতায় থাকা কালীন মাহবুব উদ্দিন খোকন কে সব দিয়েছেন । দিয়েছেন অর্থের সন্ধান, সম্পদের সন্ধান,দূর্নীতি কি করে করতে হয় তার কলা কৌশল। সুতরাং আমান মওদুদের জন্য খোকন সাহেব এতটুকু করবে না এটি কখনই হতে পারে না।
ব্যারিস্টার হয়ে খোকন দেশে ফিরে তারেক আর খালেদার পা চেটে চেটে যুগ্ন মহাসচিব হয়েছেন আর এখন ছেলেও ব্যারিস্টার হয়েছে বাবার দূর্নীতি আর কালো টাকায়। একদিন আমার আর আপনার টাকার এই ডিগ্রী ধারী দেশে যাবে । “বাবার বাড়ী তো আমার বাড়ী-ই” , এই সূত্র মোতাবেক নোয়াখালী সোনাইমুড়ি অঞ্চল থেকে এম্পি হবে, খালেদার পা চাটবে,তারেকের পা চাটবে। এটাই সত্য । এটাই স্বাভাবিক । হাজার লক্ষ নেতা কর্মী পড়ে থাকবে রাফি ভাই, রাফি ভাই বলার জন্য। সারাদিন দলের জন্য খেটে খাওয়া গর্দভ তরুণ রাফি ভাইয়ের জন্য তার জীবন শেষ করে দিবেন। আর সাধারণ মানুষের অর্থে লালিত-পালিত হওয়া এই তরুণ ঠিক বাবার পথ আঁকড়ে ধরবে। তার বাবাই হয়ত শিখাবে যে, “দেশের টাকা মেরে খাওয়া হালাল কাজ” কিংবা তার বাবাই তাকে হয়ত বলবে, “আমার মত নেতাকে যে দেশের মানুষ ভোট দেয়, সেই দেশে তুমিও মন্ত্রী হত পারো রাফি, পূত্র আমার। এই গর্দভ জনগণ বড়ই বোকাচোদা”
সাকেব মাহবুব রাফি তাই এখন এল এস ই তে স্টুডেন্ট ইউনিয়নের নেতা হয়ে ওয়ার্ম আপ করে নিচ্ছেন, দেশে গিয়ে আফটার অল ময়দানে নামতেই হবে। পাঠক আপনাদের আরো একজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম। চিনে রাখুন আপনার নেতাকে।
উপরের এই ছবিতে যে দুইজনকে দেখছেন তাদের নাম জানার আগে তার বাবার নাম জানা দরকার। এই দুইজনের বাবার নাম কর্ণেল ফারুক রহমান। চিনতে পারছেন কি? জাতির জনক কে নির্মম ভাবে যারা কাপুরুষের মত রাতের আঁধারে হত্যা করেছে। যাদের হাতে বাংলাদেশ রঞ্জিত হয়েছিলো ১৯৭৫ সালের ১৫ই অগাস্ট। তাদের দলের অন্যতম হচ্ছে এই কর্ণেল ফারুক রহমান। বংগবন্ধুকে হত্যা করে ১৯৮৭ সালে গঠন করে বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি নামে এক খুনে দল। যাদের প্রধান কাজ ছিলো জামাতের মত দল গঠন করে নিজেদের পাছা বাঁচানো। এই কর্ণেল ফারুক প্রকাশ্য জনসভায় বলেছিলো, “আমিই হত্যা করেছি শেখ মুজিবকে, বাংলাদেশে এমন কোনো মায়ের সন্তান নেই যে, আমাকে বিচার করে”
ভাগ্যের নির্মম সত্যতায় বাংলাদেশের মাটিতেই এই খুনীর পিশাচের বিচার হয়েছে তার দল-বল সহ। কিন্তু খুনী ফারুক তার বীজ রেখে গেছে পৃথিবীতে। এরা এখন নতুন করে শুরু করেছে ফ্রিডম পার্টিকে নতুন করে সাজাবার প্ল্যান। ক্ষমতায় যাবার অংশীদার হিসেবে ভেতরে ভেতরে চলছে বিভিন্ন দলের সাথে আঁতাত।
উপরের ছবিতে প্রথম জনের নাম সৈয়দ তারেক রহমান এবং পরের জনের নাম যুবায়ের ফারুক। তারেক এই মূহূর্তে ফ্রিডম পার্টির চেয়ারম্যান। আরেক খুনী কর্ণেল রশীদের মেয়ে মেহনাজের সাথে এই দলের নেতৃত্ব নিয়ে তুমুল দ্বন্দ । ঠিক যেমনটি দ্বন্দ্ব ছিলো ফারুক আর রশীদের মধ্যে। দুঃখের বিষয় হলো যেই ফ্যামেলী ডাইনেস্টী ডাইনেস্টী বলে ম্যাতকার করেছিলো খুনী ফারুক , তার ছেলেই বাপের সম্পত্তির উত্তরাধিকারের মত এখন দলের প্রধান। যদিও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী ফ্রিডম পার্টি কোনো নিবন্ধিত দল নয়। ফারুকের বড় পূত্র পড়েছে ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া। পাশ করে বের হয়েছে ১৯৯৬ সালে। এখানে আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে । তা হলো ১৯৭৫ সালে যখন ফারুক-রশীদ বঙ্গবন্ধুকে খুন করে লিবিয়াতে চলে যায় তখন তাদের কাছে তো হিসেব মতে অর্থ থাকার কথা না। একজন আর্মি অফিসারের সর্বোচ্চ বেতন কত? অথচ দেখা গেলো এই দুইজন ( এরা দুইজন আবার ভায়রা ভাই) লিবিয়াতে বিশাল ব্যাবসা “দি কন্সোটিয়ার্স” নামে কন্সট্রাকশনের ব্যাবসা খুলে বসেছে। কই পেলো তারা এই টাকা? তবে কি তারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করে দেশের অর্থ লুট করেছিলো?
তার ছেলে ইউনি ভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াতে এভিয়েশন ম্যানেজম্যান্ট এন্ড ট্রেইনিং এর উপরে পড়েছে । সৈয়দ তারেক রহমান পেশায় একজন পাইলট। কিন্তু এই পড়ালেখার টাকা তারা পেলো কোথায়? প্রতি বছরে ওয়েস্টার্ন ইউনি’র টিউশন ফি প্রায় ৪০ হাজার ডলারের মতন। কোথায় থেকে আসলো এই টাকা?
ফারুকের দুই মেয়ে নাজনিন রহমান,শারমিন রহমান টিয়া,আর আরেক ছেলে প্রত্যেকে পৃথিবীর বাইরের সব দেশ থেকে ডিগ্রী নিয়েছে। কোথায় থেকে এলো এই অর্থের সংস্থান? ফ্রিডম পার্টিরই বা অর্থের সূত্র কোথায়? কে কে এই খুনী দলের ডোনার? কর্নেল ফারুকের যখন ফাঁসির আদেশ হয়, তখন সারা পৃথিবীর নেতাদের কাছে চিঠি গিয়েছিলো এই ফাঁসি বন্ধের অনুরোধ করে। লন্ডনে যুবায়ের ফারুক এসেছিলো সংবাদ সম্মেলন করতে, সেখানে পাকিস্তানী রাজাকার ব্যারিস্টার আযাহার আলী এই খুনীর ছেলেকে সব সময়ই ব্যাক-আপ দিয়েছিলো।
আবার ছোট ছেলে যুবায়ের ফারুক পড়ালেখা করেছে আইন বিষয়ের উপর । পি এইচ ডিও করেছে আইনের উপর। কে দিলো এই খরচ? এইখানেই ঘটনা শেষ নয়, নপুংশক এরশাদের সময় একবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছিলো যেখানে এই কর্ণেল ফারুকও প্রার্থী হয়েছিলো। সেই টাকার উতসই বা কোথায়?
সারাদেশে নির্বাচনী প্রচারনা চালাতে সে সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করেছিলো এরশাদ।
আসলে সব কিছুর উত্তর আসলেই সোজা। যারা দেশের স্থপতিকে কাপুরুষের মত রাতের আঁধারে হত্যা করে ফেলতে পারে তাদের উদ্দেশ্য কোনোদিনি ভালো হতে পারে না। দেশের অর্থ লুট করে ফারুক তার চার পুত্র-কন্যকে পড়িয়েছে । আর নিজে দেশে বসে করেছে রক্তের খেলা।
দেশের অর্থে লালিত পালিত এই হিংস্র খুনীর ছেলেও বাবার মত হিংস্র। ক্ষমতায় এসে রক্ত গঙ্গা বইয়ে দিতে, তার বাবার রেখে যাওয়া কাজ সম্পাদন করতে বদ্ধ পরিকর এই খুনীর দল ফ্রিডম পার্টি। এরা এখন ধীরে ধীরে গোপনে সংঘটিত হচ্ছে । ফ্রিডম পার্টিকে আবার সেই পুরোনো ফর্মে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। বাবার অবৈধ টাকা ফূর্তি করে হয়ত বি এনপির সাথে আঁতাত করে জামাতের মত এরাও সামনের নির্বাচনে আসন পাবে। খুনীর ছেলে তারেক কিংবা যুবায়ের হয়ত নির্বাচন করবে। এম্পি হবে।
আপনাদের নেতা হবে এই সৈয়দ তারেক তারেক রহমান কিংবা যুবায়ের ফারুক। চিনে নিন আপনাদের এই মহান নেতাদের।
উপরের ছবিতে যাকে দেখছেন তার নাম মেহনাজ রশীদ । উপরের গল্পের মতই তার গল্প । ফ্রিডম পার্টিকে সংগঠিত করার জন্য দেশে কাজ শুরু করেছিলো এই মেহনাজ রশীদ। ১৯৭৫ সালের বংগবন্ধুকে হত্যাকারী দলের অন্যতম খুনী কর্নেল রশীদের বড় মেয়ে মেহনাজ রশীদ। তাপস হত্যা প্রচেষ্টা মামলার অন্যতম আসামী। ১/১১ এর পেছনের বড় কুশীলব ব্রিগেডিয়ার বারীর সাথে তার বিয়ে হয় এবং সে সময় থেকেই মইন ইউ সরকারের গ্রিন সিগনাল পেয়ে ফ্রিডম পার্টিকে শক্তিশালী করার কাজে নামে ফারুকের ছেলে তারেক আর রশীদের মেয়ে এই মেহনাজ। যদিও তারেকের সাথে ছিলো ক্ষমতার প্রবল দ্বন্দ। বারীর সাথে ডিভোর্স হয়ে যায় এক সময় এবং পরবর্তীতে বিয়ে করে আওয়ামীলীগের এক নেতা রফিকুল ইসলাম রাফিকে।
কথা মূলত এখানে নয়। কন্সার্নও এখানে নয়। এই মেহনাজ দেশের বাইরে পড়ালেখা করে। তার বাবা ১৯৯১ সালে একবার এম পি হয় । সে সময় তার দূর্নীতি আর কালোটাকার গরম দিয়েই মেহনাজের বেড়ে ওঠা। সেই মেহনাজ এখন ততপর ফ্রিডম পার্টিকে গুছিয়ে এনে ক্ষমতার মৌতাতে নিজেকে আরো আবদ্ধ করা । খুনী রশিদ কোথায় পেলো এই অর্থ মেহনাজকে পড়াবার? এই অর্থের সূত্র কোথায়? ফ্রিডম পার্টিকে সঙ্গঘটিত করবার খরচই বা মেহনাজ পেলো কোথায়?
যার বাবা ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে মেরে ফেলেছিলো, যার বাবা ১৯৯১ সালে এম্পি হয়ে সংসদে গিয়েছে, দূর্নীতি করেছে, তারই মেয়ে আজ ক্ষমতায় যাবার জন্য হিংস্র হয়ে উঠেছে। কুমিল্লা থেকে তার বাবার আসনে ২০১৩ তে মেহনাজ নির্বাচনে দাঁরাবে তা এক প্রকার নিশ্চিত। কুমিল্লার মানুষ, আপ্নারা তৈরী থাকেন আপনাদের এই নেত্রীকে বরণ করবার জন্য । জানি আপ্নারা পারবেন। আপনাদের সেই রুচি আর ইচ্ছে আছে। আফটার অল, গত কয়েক যুগ তো তাই হয়ে আসছে।
উপরের ছবিতে যাকে দেখছেন তার নাম ববি রেদোয়ান সিদ্দীকি। শেখ এমমাত্র রেহানার ছেলে। মায়ের দূর্নীতি আর দেশ থেকে মেরে দেয়া কোটি কোটি টাকায় বড় হওয়া এই রাজপূত্র পড়ালেখা করেছে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনোমিক্সে অর্থনীতিতে। আওয়ামীলীগে কোনো পদ নেই, কোনো দপ্তর নেই কিন্তু অবলীলায় বলে দেয়া যায় তিনি ক্........
No comments:
Post a Comment
SuccessFully Published Your Comment. Thanks my Dear Friends